নিজস্ব প্রতিনিধি:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “একটা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক—এটাই আমাদের লক্ষ্য।” এ জন্য অনেকেই তাকে “ভারতের এজেন্ট” বা “আওয়ামীর দালাল” বলে গালাগাল করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে এবং কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে চান, নির্বাচন চাইছেন—তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকবে।
জামায়াতের পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) দাবি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রচলিত পদ্ধতিতেই ভোট হবে এবং জামায়াতও অংশ নেবে। তবে জামায়াতকে আর “মাথায় তোলা হবে না” বলে আশ্বাস দেন তিনি। এনসিপিকে আর কোনো শক্তি মনে করেন না বলেও মন্তব্য করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা দুজনেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চান। সেনাবাহিনীও ভোট শেষে ব্যারাকে ফিরতে আগ্রহী।
ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, তবে “বাংলাদেশকে শুধু আওয়ামী লীগ হিসেবে দেখা ভারতের ভুল”। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল—জামায়াত শুধু নির্বাচনি শরিক ছিল, নীতিগত নয়।
তিনি আরও বলেন, “হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। আমরাও যদি একই কাজ করি, প্রতিফল পেতে হবে। মানুষ এত রক্ত দেখেছে, প্রাণহানি হয়েছে—তাদের মধ্যে আওয়ামী-বিরোধিতা রয়েছে।”
ফখরুলের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধ-বিদ্বেষ কাটিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ আবারও বাড়বে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হবে, সাংস্কৃতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে।