Home » চুয়াডাঙ্গায় আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত দশ পরিবার

চুয়াডাঙ্গায় আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত দশ পরিবার

কর্তৃক xVS2UqarHx07
120 ভিউজ

মোঃ আব্দুল্লাহ হক চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকি গ্রামের আদম ব্যবসায়ী খন্দকার সোহেল এর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে দশটি পরিবার। একটু সচ্ছলতা আনার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে চাকরি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল বেড়াশুলা গ্রামের কয়েকটি পরিবার। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আদম ব্যবসায়ী খন্দকার সোহেল অসহায় ওই পরিবারগুলোকে উচ্চবেতনের লোভ দেখিয়ে সৌদি আরব, ডুবাই, মালয়েশিয়া পাঠান কোম্পানির ভিসায়। সেখানে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।ভুক্তভোগী চিলাভালকি গ্রামের তোফায়েল
মোবাইল ফোনে বলেন, সৌদি আরবে ভালো কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেন খন্দকার সোহেল। ছয় মাস আগে ভিসা পেয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার পর তাকে একটি হোটেলে রেখে নির্যাতন করা হয়। সেখানে তার কাছ থেকে পাসপোর্টসহ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারা টাকার জন্য মারধর-নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আরো ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয় তোফায়েলের পরিবারকে।
তোফায়েল আলী বলেন, আমি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। কোথাও কোনো কাজ করতে পারছি না। দেশেও ফিরতে পারছি না। এক বেলা খেতে পারছি তো দু-বেলা না খেয়ে আছি। আদম ব্যবসায়ী আসিফ ইকবাল এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। আমি ও আমার পরিবারের কারো কাছে কিছু বলতে পারছি না। বলতে গেলে আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তোফায়েল আলীর মতো আরো নয়জন ভালো চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদেশে পাঠিয়েছে সোহেল। তাদেরও মানবপাচার চক্রের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। করা হচ্ছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
চিলভালকি গ্রামের নাসির উদ্দিন ৪ লক্ষ ৬০ টাকা দেন সোহেলকে , সৌদি আরবে ৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার নাম করে কিন্তু চাকরি তো দূরের কথা তিনি বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন এবং দেশ থেকে প্রতি মাসে খাওয়া থাকা খরজ পাঠাতে হচ্ছে,।
আদম ব্যবসায়ী সোহেল, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বড় বড় কথা বলে সবাইকে দাবিয়ে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ, মুখ খুললেই বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে, । দ্রুত এ আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খন্দকার সোহেল বলেন, আমি এ পর্যন্ত শত শত বছর হলো ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠিয়েছি। এদের একটু সমস্যা হয়েছে। আমি সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করছি

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন