Home » মহেশপুরে পরিবেশ নন্দিত স্বর্ণলতা বিলুপ্তীর পথে

মহেশপুরে পরিবেশ নন্দিত স্বর্ণলতা বিলুপ্তীর পথে

কর্তৃক xVS2UqarHx07
208 ভিউজ

মহেশপুর প্রতিনিধি মোঃ হাসান আলী:

ছয় ঋতুর দেশ এই রূপসী বাংলাদেশ। ছয় ঋতুর ছয় রূপ। প্রতিটি ঋতু তার রূপবৈচিত্র নিয়ে হাজির হয়। প্রকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে যে কয়েকটি লতা, তাদের অন্যতম হচ্ছে স্বর্ণলতা। গ্রাম্য ভাষায় কেউ আলোকলতা বা সোনা লতা নামেও চেনে। শ্যামল বাংলার পথে প্রান্তরে আপন রূপের মহিমা ছড়ায় এই লতা তার নিজের মত করে।

পৌষের শিশিরভেজা মৃদু বাতাসে মহেশপুর উপজেলার হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণলতা বা আলোকলতা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে মহেশপুর উপজেলার মহেশপুর থেকে চৌগাছা ও খালিশপুর সড়কের পাশে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুরি ঝুরি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর ওপর রোদ পড়লে চকচক করে। শীতের পাতাঝরা প্রকৃতিতে মোহনীয় সৌন্দর্য ছড়ায় আলোকলতা বা স্বর্ণলতা। তবে গ্রাম-গঞ্জে এখন খুব কমই চোখে পড়ে আলোকলতা। পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যায় কাটাজাতীয় বা বড়ই গাছের কান্ডে। এর সবুজাভ উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে নজর কেড়ে নেয়। একসময় গ্রামীণ পথের ধারে গাছে গাছে জালের মতো বিস্তার করত আলোকলতা। এখন বাসযোগ্য আবাস না থাকায় এ লতা প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। শীতের পাতাঝরা প্রকৃতিতে মোহনীয় সৌন্দর্য ছড়ায় আলোকলতা।

ডাঃসাইফুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃরিফাদ হোসেন বলেন, গাছেই এর জন্ম, গাছেই বেড়ে ওঠা, বংশবিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কান্ড-মূল সব।

শামছুল হুদা খাঁন কলেজরে প্রভাষক মোঃআলমগীর হোসেন বলেন, আলোকলতা একটি পরাশ্রয়ী প্রজাতির। চোষক অঙ্গ নিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করে। গ্রাম বাংলায় স্বর্ণ লতা বলা হয়। সোনালি রঙের চিকন লতার মতো বলে এরূপ নামকরণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, জীবন্ত গাছে জন্ম নেয়া পরগাছা হয়ে টিকে থাকে। যে গাছে জন্মায় সে গাছের ডাল ও কান্ড থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। প্রাকৃতিকভাবে বংশ বিস্তার করে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন