আজকের মেহেরপুর ডেক্স:
মেহেরপুরে জজকোর্টের পিয়ন পিতার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ও সঠিক বিচারের দাবিতে ভাই ও মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইব্রাহীম নামে এক যুবক।
আজ রবিবার সকাল ১১ টায় মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে ইব্রাহীূম বলেন, আমার পিতা, রফিকুল ইসলাম জজ কোর্ট এর পিয়ন তাই আমরা কোনো সঠিক বিচার পাই না। আমার পিতাঃ রফিকুল ইসলাম,৪ লাখ টাকা যোতুক ও মায়ের নামের বাড়ি,  আমার পিতার নামে লিখে দিতে বলে,আমার মা রাজি না হওয়ায় আমার মাকে মারধর করে আমার পিতা বাড়ি থেকে২৮/১০/২০১১ চলে যায়।  আমি মা,আমার বড় ভাই ছনি, আমরা  বিচার চেয়ে কোর্ট এর নাজির সাহেবের কাছে দরখাস্ত করি। কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। তার পর কোর্ট এ গেলে, কোর্ট এর সকল স্টাফ বলে, আমার মাকে আপনার ছোট ছেলে কে ইব্রাহিম কে ওর পিতার কাছে থাকলে রাগ কমলে বারি চলে যাবে, তোই ৩০ আক্টোবর ২০১১ তারিখে বাবার কাছে চলে যায়।   এর মধ্যেআমার মাকে বাবা তালাক দেই।   আমার মা নারীশিশু  আইনে আমার পিতার বিরুদ্ধে  মামলা করে যার নং ৪০৬/১১। কিছুদিন পরে তদন্ত সাক্ষী বাদে মামলায় খারিজ করে দেয় কোর্ট। এর পর আবার নারীশিশু আইনে মামলা করা হয়।   যার নং৪০৯/১১। এই মামলা চলা কালে  আমার মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে প্রচান্ড মার ধর করে।আমি ভয়ে সাক্ষী দিই মায়ের বিরুদ্ধে। আমি সাক্ষী দিলে মামলা খারিজ হয়ে যায়। আবার আমার মা  বাবা রফিকুল ইসমলামের বিরুদ্ধে আবার  পারিবারিক্আদালতে মামলা করে যার নং ৯৪/১৩।এই মামলাতে আমার বাবা আমাকে আবার মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে বলে।   আমি  মিথ্যা স্বাক্ষী না দেওয়া আমার পিতা, আমাকে বিষ  খাওয়ান। কিছুক্ষণ পর   আমার পিতা নিজে বাচার জন্য  বিষ খায়। আমার মা শুনে আমার, পিতা আর বাবাকে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে,ওখানে যাবতি খরচ করে আমার মা সুস্থ করে তোলে। এসব  দেখে, আমার বাবার অপর স্ত্রী শাহেনা খাতুন আমার পিতার নামে( সি আর ২৪৭/১৪)মামলা করে। আমার পিতা হাজতে যায়। এসময় সবাই মিলে আমার মাকে বলে তোমার স্বামীকে বাচাও, না হলে তোমার স্বামীর  চাকরি চলে যাবে।আমার মা আমাদের  সুখের কথা ভেবে অনেকের কাছে ধার দিনা করে,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের গদি ঘরে ৬৫হাজার টাকায় আপোষ মিমাংশা হয়।তারপর আমার পিতা ৮হাজত  দিন পর  মুক্তি পাই। আমার মা ও বাবা পুনোরায় ২৫/০৮/২০১৪সালে ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। তারপর  আমার মা বাদি সে পারিবারিক ৯৪/১৩মামলা মিমাংশা হওয়াই খারিজ হয়।তারপর আমার পিতার অনেক ধার দেনা ছিলো প্রাই ২ লক্ষ টাকা মতো। আমার বাবার চিকিৎসার জন্য২৮০০০হাজার,শাহেনা খাতুনকে বাদ দেওয়া বাবদ ৬৫০০০হাজার,  জামিন খরচ বাবদ১৫০০০হাজার, সবমিলিয়ে ৩লাখ ৮হাজার টাকা।
এসব দেনা শোধ করার জন্য।আমার মায়ের নামে জমি বন্দক দিয়ে ৮০ হাজার,গ্রামিন ব্যাংকে ১৪হাজার,ব্রাক ব্যাংক থেকে ৪০হাজার,পদক্ষেপ ব্যাংক থেকে ১২হাজার, এসব টাকা আমার মায়ের নামে তুলছে এক টাকাও শোধ করে নাই। আর ব্যাুরো ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলে ছিলো। এই টাকা আমার বাবার নামে তুলছিলো তাই এই  টাকা আমার পিতা শোধ করছে। ব্যাংকের টাকা শোধ করতে বললে বাড়িতে গ্যানজাম হতেয় থাকে। টাকা শোধ করা কথা দুরে থাক কিছুদিনের মধ্যেয়।   ২০১৬ সালে আবার ৪ লক্ষ টাকা যোতুক দাবি করে।আমার বড় ভাইকে তেজ্যপুত্রের ভয় দেখায় আমার পিতা। ১৬/০৪/২০১৬সালে ৪ লক্ষ টাকা না হয় বাড়ি দে বলে। আমার মা দেবে না বলায়। আমার মাকে মারধর করে। বাড়ি থেকে আমার পিতা,  আমার বড় ভাই কে নিয়ে চলে যায়। তারপর আমার ভাবিকে  দিয়ে থানায় ও কোর্টে (১২৩)মামলা করাই আমার মা ও আমার নামে,পরে সে কেস খারিজ হয়,  আমরা কখনো জজ সাহেবের সাথে কথার অনুমতি পায় নি,ওনেক দরখাস্ত করছি কোনো লাভ হয় নাই,
আমার চাইতাম তাঁদের কর্মী এমন কাজ করছে কোনো সঠিক বিচার পাবো তাও হয়ে ওঠে  নি।আমার ভাবি মামলা করার কিছু দিন পর মিমাংশ না হওয়ায়,
আমার মা বাদি আমার পিতা, ভাই, ভাবি,তাওই,এর বিরুদ্ধে  সি,আর -১১৬/১৬ নং মামলা করে।,আমার ভাই তাদের ভুল বুঝে বাড়ি চলে আসে।তখন সি,আর -১১৬/১৬ মামলা মিমাংসা করাই কেস খারিজ হয়ে যায়, নারী শিশু ১৪৫/১৬ মামলা করলে, তদন্ত না করেই, বাদি পক্ষের এডভোকেট বাদে শুধু বিবাদী এডভোকেট   জেরাই সাক্ষী শেষে মামলা খারিজ হয়ে যায়। যোতুক সি,আর-২৩৪/১৬মামলা করে আমার মা,সাক্ষির দিন ভুল বসত হাজার না হওয়ায়, পুনরায় ওই কেস সি,আর-৫৫০/১৯ মামলায় সাক্ষী চলছে,  আমার পিতা,বহুবিবাহ কারী ব্যাক্তি।
যাদের সাথে বিবাহ হয়েছে তারা হলেন, নাজের খাতুন, পিতাঃ মৃতঃইসাহার,সাহারবাটী কড়োইতলা পাড়া,গাংনী, মেহেরপুর। মৃতঃকাদা খাতুন,পিতাঃ মৃতঃরতন,নতুন পাড়া ১ নং ওয়ার্ড, মেহেরপুর পৌরসভা। মোছাঃ মাবিয়া খাতুন,পিতার নাম জানা নাই,কাঠাল পোতা, মুজিবনগর, মেহেরপুর। জালেমন খাতুন, পিতাঃমৃতঃসলেমান শেখ,ধানখোলা উত্তর পাড়া, গাংনী , মেহেরপুর। ছকিনা খাতুন,পিতাঃ মৃতঃরহমান শেখ,নতুন পাড়া, ১নং ওয়ার্ড,মেহেরপুর পৌরসভা।  শাহেনা খাতুন,পিতাঃ মৃতঃজসিম উদ্দিন, রাজনগর, মেহেরপুর। ছকিনা খাতুন,পিতাঃ মৃতঃরহমান শেখ,নতুন পাড়া, ১নং ওয়ার্ড,মেহেরপুর পৌরসভা। আমার পিতা জজ কোর্ট চাকরি করে বলে আমরা কোনো বিচার পাচ্ছি না,
তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধমে আমরা সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল ইব্রাহীমের বড় ভাই রাকিবুল ইসলাম সনি ও মা ছকিনা খাতুন।

