Home » কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করলো কর্তৃপক্ষ

কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করলো কর্তৃপক্ষ

কর্তৃক xVS2UqarHx07
389 ভিউজ

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি -এম. সোহেল রানা:

বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক ঘোষিত ১২সেপ্টেম্বর-২১ইং রবিবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। এখনো নিষেধের আওতায় থাকা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত। কোটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে প্রায় ১৮ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দসহ সকলে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত ও মূখরিত। শিক্ষার্থীরা তাদের দির্ঘ অপেক্ষারত ক্লাসে বসে ও শিক্ষকেরা কর্মসংস্থানে ফিরে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অনেক খুশি ও আনন্দ অনুভব করছে। পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন ও আনন্দে মূখরিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা। প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা জনশূন্য/শিক্ষার্থী শূন্য আজ ভরপুর হয়েগেছে শিক্ষার্থীদের দাপিয়ে চলাচলের মধ্য দিয়ে। এ যেন এক হারানো ধন ফিরে পাবার আনন্দ।

বরিবার (১২সেপ্টেম্বর-২১ইং) সকাল ১০ঘটিকার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত কামদেরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসরাইল হোসেন এর উপস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মাধ্য দিয়ে তাদের ক্লাসরুমে আহ্বান করা হয়।
প্রায় ১৮ মাস পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ কালে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ শেরফুল ইসলাম (সহকারী প্রধান শিক্ষক), সহকারী শিক্ষক- মোঃ নাসির উদ্দিন, মোছাঃ তমজিদা পারভীন, মোঃ আক্কাস আলী, মোঃ রুহুল আমীন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ মিরাজুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ রশিদুল ইসলাম, মোঃ ফুরকান আলী, মোঃ হামিদুল ইসলাম (অফিস সহকারি) প্রমুখ। আমরা জানতে পায়, ১২সেপ্টেম্বর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে এমন সংবাদে গত ১ সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাসহ সকল পাঠদানের কক্ষগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। শিক্ষার্থীদের বরণের অপেক্ষায় ছিলো প্রতিষ্ঠানটা। আজ শিক্ষার্থীদের বরণ করে তার বাস্তবে রূপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটাকে মুখরিত করেছে।

কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসরাইল হোসেন তাঁর বক্তব্যে জানান- সারা বিশ্বে এমন এক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)এর থাবাতে বিশ্বের সকল স্তরের জীবন যাত্রার মান স্তব্ধ প্রায়, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সেই করোনা মহামারীর থাবার বাহিরে ছিলোনা। বাংলাদেশের জীবন-যান্ত্রার মানও থমকে গিয়েছিলো প্রায়, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জীবন সূরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রানালয় কর্তৃক ঘোষিত আদেশে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিলো। দীর্ঘ প্রায় ১৭/১৮ মাস পরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। দির্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝোরে গেছে শিশুশ্রম ও বাল্য বিবাহ অনেকগুনে বেড়েছে। তাই এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে বিগত দিনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যে পড়া-লেখা ব্যহত হয়েছে তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে আমরা শিক্ষামন্ত্রনালয় ঘোষিত রুটিন মাফিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার ঘাটতি পুষিয়ে দেবার চেষ্টা করবো এবং ভালো রেজাল্ট আনতে পারবো আশারাখি।

সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শেরফুল ইসলাম জানান- দির্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বেপুয়া হয়ে ব্যস্ত ছিলো ফেসবুক, ইউটিউব, ফ্রি ফায়ার,পাবজি খেলার মধ্যে। সময় নষ্ট করেছে বহুগুণে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকলে তারা যে সময় নষ্ট করেছে না বুঝে, শিক্ষার্থীরা আর সে সময় নষ্ট করতে পারবেনা বা করবেনা আমাদের বিশ্বাস।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন