Home » গাংনীতে সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন রবিনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে

গাংনীতে সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন রবিনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে

কর্তৃক xVS2UqarHx07
290 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মেহেরপুরের গাংনীতে সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন রবিনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুর ২টায় গাংনী মাদ্রাসা মার্কেটের নিজ দোকানে বসে থাকাবস্থায় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ার হোসেন রবিন গুরুতর আহত হয়েছে। সে গাংনী ভিটাপাড়ার ৭ নং ওয়ার্ডের জালাল উদ্দীনের ছেলে ও যুবলীগনেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জলের ছোট ভাই। গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
আহত সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন রবিন বলেন,মাদ্রাসা মার্কেটের নিজ দোকানে বসে থাকাবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিমুলতলা গ্রামের নুর এ আলম একিন ও গাংনী ভিটাপাড়ার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। গুরুতর আহতবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে হামলার ঘটনা জানাজানি হলে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গাংনী বাজার বাসষ্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা তৈরি হয়।

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারন সম্পাদক মখলেচুর রহমান মুকুল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করে অভিযুক্তদের দ্রত গ্রেফতারের দাবি করেন।
গাংনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সীমা জানান,আনোয়ার হোসেন রবিন মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত রয়েছে। এক্সরে করতে পাঠানো হয়েছে। এক্সরে রির্পোট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন,হামলাকারীদের সোমবার সন্ধ্যায় ৬ টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যাথায় দোকানপাট বন্ধ সহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে গাংনী হাসপাতালে ছুটে যান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক। তিনি হামলাকারীদের দ্রত গ্রেফতারের দাবি করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিমুলতলা গ্রামের নুর এ আলম একিন ও গাংনী ভিটাপাড়ার হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন