Home » গাংনী কাথুলী সীমান্ত দিয়ে ১৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

গাংনী কাথুলী সীমান্ত দিয়ে ১৪ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

কর্তৃক xVS2UqarHx07
44 ভিউজ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৪ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে দিকে পুশ-ইনের ঘটনা ঘটে। পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁ জেলার দুই পরিবারের ১১ জনসহ মোট ১৪ জন।

বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় , বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাথুলী বিওপির সীমান্ত এলাকার আনুমানিক ১০০ গজ অভ্যন্তরে সীমানারেখার ১৩৩/৩ এস পিলারের অভ্যন্তর দিয়ে ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। আটকপূর্ব আসাম রাজ্যের তেইমপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অনোজ কুমার তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের হস্তান্তর করে। এদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ চারজন নারী ও চারজন শিশু রয়েছে।

পুশইন হওয়া ব্যাক্তিরা করা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার বলিয়াডাঙ্গী থানার জেলেল বস্তির গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে হানিফুর রহমান(৩৮), তার স্ত্রী লুৎফা খাতুন(২৮), মেয়ে হাবিবা খাতুন(১২) আলিয়া খাতুন(১.৫), ছেলে হাবিবুল্লা(০৫), একই এলাকার খাদেমগঞ্জ গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন এর ছেলে বাবুল(৫০), তার স্ত্রীর আফরোজা খাতুন(৪৩), মেয়ে লাভলী খাতুন(২৫) শবনম খাতুন(১৯), ছেলে সাদ্দাম হোসেন(২৪),বেউরঝাকী গ্রামের আজগর আলী ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৮),রত্নাই গ্রামের ধুনিবুলা মোহাম্মদের ছেলে আজিজুল হক(৪৫) ও লক্ষহাট গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে হাসেম হাতেম(৫২)।

পুশইন হওয়া হানিফুর রহমান জানান, তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে পানি পথ দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিলাম। আসাম রাজ্যের হরিয়ানাতে পাপোস তৈরির কারখানায় কাজ করতাম। গত মাসের ২১ তারিখে ভারতের পুলিশ আমাদেরকে আটক করে। এরপর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিপির নিকট আমাদেরকে হস্তান্তর করে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন