কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি কে এম শাহীন রেজা:
কুষ্টিয়ায় জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে দুই ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার নৃসিংহপুর (রসুনপুর) গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ইটাল (৩৬) ও আজম (৩৩)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদেরকে জেলা কারাগারে নিয়ে যওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১০ সালের ৩ জুন সকালে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আপন চাচা তহির উদ্দিনকে (৫৫) রক্তাক্ত জখম করে ইটাল ও আজম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। রাজপাড়া থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরদিন নিহত তহির উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ইবি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর ইবি থানা পুলিশের এসআই সৈয়দ আশিকুর রহমান দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নিহত তহির উদ্দিনের স্বজনরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তহির উদ্দিনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। ১১ বছর পর আসামি আজম ও ইটালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে আমরা খুশি। তবে তার ফাঁসি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আজম ও ইটালকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

