নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ফেনী–২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী আলাল উদ্দিন আলাল এবার সরাসরি ধানক্ষেতে গিয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন। এর আগে তিনি একাধিকবার মৌখিকভাবে আবেদন করলেও এবার মাঠে নেমে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আলালের এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “আলাল ভাই দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তার আবেদন দলীয় উচ্চপর্যায় অবশ্যই বিবেচনায় নেবে।”
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আলালের এই রিভিউ আবেদন দলের ভেতর নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, “দল প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা দলের সিদ্ধান্তই মানি। তবে দলের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। আমাদের তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশ ছিল, মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ-উল্লাস করা যাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ হাইওয়ে ব্লক করে আনন্দ-উল্লাস করেছেন এমপি সাহেব নিজে উপস্থিত থেকে, অথচ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি।”
তিনি আরও বলেন, “ফেনী–১ আসনে (ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া) বেগম খালেদা জিয়া মনোনীত হয়েছেন—এটাই আমাদের গর্ব। বেগম জিয়া আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা, মজলুম দেশনেত্রী। ছাগলনাইয়ায় সর্বপ্রথম মোটরসাইকেল বহর আমি-ই নিয়েছি।”
এদিকে ফেনী–২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি ঢাকা থেকে গাড়িবহরসহ ফেনী সদর হাসপাতাল মোড়ে এসে বক্তব্যে বলেন, “আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় ১% চোর-ডাকাত নাখোশ হয়েছে।”
তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
বিএনপি নেতা গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন,“করোনা মহামারী ও ২০২৪ সালের বন্যায় পাশে না থাকা একজন মানুষ নাকি ফেনীবাসীর সেবা করবে! ১৭ বছরের আন্দোলনে একদিনও জেল না খাটা ব্যক্তি এখন জেল-জুলুমের শিকার কর্মীদের চোর-ডাকাত বলছে।”
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জয়নাল আবেদীনের এমন বক্তব্যে আমরা মর্মাহত। ১৭ বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। ফেনীতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন নির্যাতনের মুখে ঘরে থাকতে পারেননি, তখন তিনি নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে বসে খানা খাচ্ছিলেন।”
বিএনপির এক নির্যাতিত নেতা বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কিন্তু দল যেন এমন কাজ না করে, যার খেসারত শেষ পর্যন্ত আমাদেরই দিতে হয়।”

