প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গত ৫ আগস্ট নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা।
গ্রেফতার হিরু মৃধা গোয়ালন্দ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাসুদ মৃধা গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। পুলিশ ও প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙচুর, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন এবং পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। পুলিশের বরাত দিয়ে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা তদন্তে আসবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেন কাজী অপু নামের এক ব্যক্তি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এ ঘটনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য সবাইকে অবহিত করেন।
তারা জানান- এ ঘটনার আগে স্থানীয় ঈমান ও আকিদা কমিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দুই দফা এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা সভা করে। প্রশাসন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ঈমান ও আকিদা কমিটি উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে, তারা কথা রাখেনি।