আমঝুপি অফিস:
পরিকল্পিত শিল্পায়নের নতুন কল-কারখানার নির্মাণ কাজের সূচনা দেশের অর্থনীতির জন্য সু-খবর। বললেন বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। শিল্প-কারখানা স্থাপনে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছয় একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে কালার স্টাইল বাংলাদেশ নামে একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট-২১ইং) বিকালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি জমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুসারে, রেসাসকেমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নামক একটি তুর্কি কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে জামালপুরে দুটি শিল্প-কারখানা স্থাপন করবে কালার স্টাইল বাংলাদেশ। এর মধ্যে রেসাসকেমি বাংলাদেশ লিমিটেড শিল্প-কেমিক্যাল এবং মাজ টেক্সটাইল লিমিটেড শতভাগ রপ্তানিমুখী নিট কম্পোজিট উৎপাদন করবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জানায়, কালার স্টাইল বাংলাদেশ লিমিটেড জামালপুরে মোট বিনিয়োগ করবে ১১.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে অন্তত ১২৩৫ জন লোকের।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র পক্ষে নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন, অতিরিক্ত সচিব) জনাব আলী আহসান এবং কালার স্টাইল বাংলাদেশ লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও নতুন কারখানার নির্মাণ কাজের সূচনা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। তিনি জানান, সারাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে জামালপুরের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে খাদ্য ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী দেশের মূলধারার অর্থনীতির চাকার সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন উদাহরণ তৈরী হবে।
কালার স্টাইল বাংলাদেশ লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি যথাশীঘ্রই উৎপাদনে যাবে।
জামালপুর সদরের দিগপাইত ও তিতপল্লা ইউনিয়নে ৪৩৬ একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেজা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেজা সূত্রে জানা যায়, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ লাইন ও ৩৩/১১ কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভূমি উন্নয়ন, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ (একশত) একরের একটি উন্মুক্ত জলাধারও নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।