Home » বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।

কর্তৃক ajkermeherpur
48 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে চীন— এমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র, যাদের মধ্যে বিনিময়ের ইতিহাস দীর্ঘ ও গভীর। দুই দেশের জনগণের কল্যাণে এই ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় ও অগ্রসর করতে চায় চীন।

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিনিময় করা অভিনন্দন বার্তায় এ কথা জানান শি জিনপিং। গতকাল ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং একে অন্যকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।

শুভেচ্ছা বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, ৫০ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ফলপ্রসূ সাফল্য এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং কৌশলগত অংশীদারত্বে আরও নতুন অর্জন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংও বার্তায় উল্লেখ করেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত মূল্য দেয়। তিনি বলেন, এই ৫০তম বার্ষিকী দুই দেশের সহযোগিতা আরও ত্বরান্বিত করার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি করেছে, যা বাণিজ্য, অবকাঠামো, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বার্তায় বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নে চীনের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত পাঁচ দশকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশ একটি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, যা উভয় দেশের জনগণের বাস্তব উপকার বয়ে এনেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার বার্তায় আরও বলেন, গত ৫০ বছরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাজনীতির ব্যাপক পরিবর্তন হলেও চীন ও বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, “আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ স্থাপন করেছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও ব্যবহারিক সহযোগিতা আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।”

এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে। দুই দেশের নেতাদের বার্তা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে যাচ্ছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন