Home » মেহেরপুর থানা ঘেরাও, ৯ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল।

মেহেরপুর থানা ঘেরাও, ৯ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল।

কর্তৃক xVS2UqarHx07
250 ভিউজ

আমঝুপি অফিস:

 

মেহেরপুর থানা ঘেরাও, ৯ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল।

 

মেহেরপুরে ৯ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এর প্রতিকার চেয়ে বাদী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) অভিযুক্ত ধর্ষককে বাঁচাতে পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্র-জনতা।

 

 

জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারী ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে মদনাডাঙ্গা গ্রামের বায়েজিদ নামের যুবক। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে বায়েজিদের সঙ্গী আলামিন হোসন।

 

 

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ, আলামিন ও বরকত আলী নামের তিন জনের নামে আদালতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন। ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে আসামিরা। ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছে তারা। এরপর এক পর্যায়ে এ ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।

 

 

এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার বাদী প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মীমাংসা জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই সুজয় কুমার উভয়পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। এ সময় এসআই সুজয় কুমার ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীকে চাপ দিতে থাকেন।

 

 

ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানায় থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী তুষার ও সিয়াম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সুজয় কুমার থানার মধ্যেই তুষার ও সিয়ামকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। এসআই সুজয় কুমার ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবিতে থানা ও থানার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র জনতা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর একটি দল থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকছুদা খানম বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাখান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা তিনটি শর্তের মধ্যে এক ঘণ্টা সময় বেধে দেয়। রাত সাড়ে ১২টার সময় পুলিশ সুপার এসআই সুজয়কে ক্লোজ করার ঘোষণা দিলে ছাত্ররা থানা চত্বর ত্যাগ করে।

 

পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম বলেন, ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী উপরিদর্শক (এসআই) সুজয় কুমার মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজনকে আটক করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন