নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের ভৈরব নদীর জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুজিব নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারের সার্বিক পরিকল্পনায় ভৈরব নদীর দারিয়াপুর,বাগোয়ান, কোনাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে সাতটি ভ্রাম্যমান টিম নদীতে পাট জাগ দেয়া বন্ধে নিরুৎসাহিতকরন ও রোধকল্পে অভিযান পরিচালিত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়ে দুপুরে দিকে তা শেষ হয়। নিরুৎসাহিত ও রোধকল্পের অভিযানের সাতটি দলের নের্তৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাকিবুল ইসলাম, সহযোগিতায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, মোনাখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বদরুল আলম , বাগোয়ান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ওহিদুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মোনোয়ার হোসেন। অভিযানের পরিচালনার সময় নদীতে পাট জাগ দেওয়া থেকে বিরত থাকা ও চাষিদের নিরুৎসাহিত করনের লক্ষ্যে স্থানীয় চাষিদের সাথে মতবিনিময় করলে চাষিরা সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন।
এবং চাষিরা এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে,নদীতে জীব বৈচিত্র রক্ষায় তারা আর নতুন করে নদীতে পাট জাগ দেবেন না এবং নদীতে জাগকৃত পাট দ্রুত উত্তোলন করে নেবেন। এ সময় পাট জাগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা কাঁচাপাট বহনকারী একটি ইনঞ্জিন চালিত পাওয়ার ট্রেলার নদীতে আসলে। অভিযান পরিচালনাকারি টিম ঐ পাট মালিকদের সাথে কথা বলে তা নদীতে জাগ দেওয়া থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করিয়ে পাটচাষিকে নিজ জমিতে নিজ ব্যবস্থাপনায় পাট জাগ দেওয়ার অঙ্গীকার নামা করিয়ে নেন। এ সময় মুজিব নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন নদী ও তার জীব বৈচিত্র রক্ষায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন সচেতনতার লক্ষ্যে কৃষকদের নদীতে পাট জাগ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করে যাচ্ছেন। তবে কৃষকরা সচেতন হলেই তা রোধ করা সম্ভব। তবে প্রশাসনের নদীতে জীব বৈচিত্র রক্ষা ও পানি দুষন রক্ষার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে।