Home » মেহেরপুর শ্যামপুরে এক যুবককে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুর শ্যামপুরে এক যুবককে কুপিয়ে জখম

কর্তৃক xVS2UqarHx07
324 ভিউজ

আমঝুপি অফিস:

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুরে শাকিল (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের খৃষ্টানপাড়ার মুবার মল্লিকের ছেলে শেরেকুল একই এলাকার ফজলু বিশ্বাসের মিলন ও মিলনের ছেলে মোহনের বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার রাত দশটার দিকে শ্যামপুরে এ ঘটনা ঘটে। শাকিল বতর্মানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শাকিল শ্যামপুর হাইস্কুল পাড়ার আব্দুল লতিবের ছেলে।

অভিযোগ রয়েছে এই ঘটনার এক সপ্তাহ আগেও শাকিলকে রাতের বেলায় শ্যামপুর ক্লাবপাড়া এলাকা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সাহারবাটি এলাকার একটি নির্জন মাঠে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, গত সাত মাস আগে চৌগাছা গ্রামের খৃষ্টানপাড়ার মিলনের মেয়ের সাথে শাকিলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শাকিলকে তার স্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় চার মাস সংসার করার পর শাকিলের সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়।

এই ঘটনার পর থেকেই শাকিলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। শাকিলের বাবা আব্দুল লতিব বলেন, সাত মাস আগে শাকিলের সাথে চৌগাছা খৃষ্টানপাড়ার মিলনের মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। চার মাস সংসার করার পর শাকিলকে পছন্দ না জানিয়ে মেয়ে শাকিলের কাছ থেকে ডিভোর্স চায়। মেয়ে সংসার করবে না বলে তার পরিবারকে জানালে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে লোকজন এসে নিয়ম অনুযায়ী তাদের ডিভোর্স হয়। শাকিলকে বিয়ের সময় ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলো সেই টাকা সহ তারা মেয়ে নিয়ে যায়। যার সমস্ত কাগজপত্র আছে। এরপর থেকেই আমার ছেলেকে তারা হত্যার উদ্দেশ্য দু’বার হামলা করে।

গত সপ্তাহে তারা আমার ছেলেকে এক লোকের মাধ্যমে কৌশলে ডেকে নিয়ে সাহারবাটি এলাকার একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে মারধরসহ গলায় রশি দিয়ে টেনে নিয়ে বেড়িয়েছে। এক পর্যায়ে আমার ছেলে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে তাকে আমরা উদ্ধার করি। এখনও তার গলার দাগ শুকায়নি। আবার গত শুক্রবার তারাই আমার ছেলেকে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করছে।

শাকিল বলেন, আমি রাতে এলাকার একটি দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম এসময় মোহন ও একজন মটরসাইকেল করে এসেই হাসুয়া দিয়ে প্রথমে আমার পায়ে কোপ মারে। আবারও কোপ মারার চেষ্টা করলে তখন আমার সাথে মহনের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মোহন যতই কোপ মারার চেষ্টা করে আমি তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। এসময় আমার হাতে কয়েক জায়গায় ক্ষত হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন