Home » সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ির ওপর হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ইরানের

সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ির ওপর হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ইরানের

কর্তৃক ajkermeherpur
0 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

এমনকি এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করারও চেষ্টা চলছে বলে সতর্ক করেছে তারা। খবর জিও নিউজ

শনিবার ইরানের বার্তাসংস্থা আইএসএনএ জানায়, গোয়েন্দামন্ত্রী ইসমাইল খাতিব বলেছেন, ‘শত্রুদের লক্ষ্য পুরো ব্যবস্থাকে দুর্বল করা। কখনও হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে, কখনও সরাসরি হামলার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নেতাকে টার্গেট করতে চায় তারা।’

তিনি ঠিক কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার কথা বলছেন কি না তা স্পষ্ট নয়। যদিও ইরানি কর্মকর্তারা প্রায়ই বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন, তবে খামেনেয়ির বিরুদ্ধে সরাসরি হামলার হুমকি সম্পর্কিত মন্তব্য অতীতে খুব কমই শোনা গিয়েছিল, বিশেষ করে চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধের আগে।

খাতিব আরও বলেন, যারা এ ধরনের কাজে জড়িত তারা শত্রুর অনুপ্রবেশকারী। এসময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন।

চলতি বছরের জুনে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালে ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী, বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে যুক্তরাষ্ট্রও মূল পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে এতে যোগ দেয়।

যুদ্ধ চলার সময় গণমাধ্যমে খবর আসে— ইসরায়েল ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে আপত্তি করেন। কারণ এতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আরও তীব্র আকার নিতে পারত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিষয়টি গুরুত্বহীন বলে উড়িয়ে দেন, তবে বলেন- এ ধরনের পদক্ষেপ সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারত।

সেই সময় ট্রাম্পও মন্তব্য করেছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হত্যা কর ‘খুব সহজ’, তবে ‘অন্তত এখনই তাকে হত্যা করা হবে না’। পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘ভয়াবহ ও লজ্জাজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।’

৮৬ বছর বয়সী খামেনেয়ি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্তে তার চূড়ান্ত মতামতই প্রাধান্য পায়।

এ মাসের শুরুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তিনি বিশেষভাবে খামেনেয়ির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং আশঙ্কা করেছিলেন, সর্বোচ্চ নেতার কিছু হলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে খামেনেয়ি বলেন, যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে দুর্বল করা, দেশে অস্থিরতা তৈরি করা এবং জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করা।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে তেহরান আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে নতুন হামলা চালানো হতে পারে বলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন