Home » হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া সঞ্চিতা বিয়ের দাবিতে ৯ দিন ধরে অনশনে, প’লা’ত’ক আলী।

হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া সঞ্চিতা বিয়ের দাবিতে ৯ দিন ধরে অনশনে, প’লা’ত’ক আলী।

কর্তৃক ajkermeherpur
21 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে নয় দিন ধরে অনশন করছেন এক হিন্দু তরুণী। ঘটনাটি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর-সাউদখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নানদোয়হান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের মেয়ে সঞ্চিতা মণ্ডল (২৬) দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দুরকানী উপজেলার চর-সাউদখালী গ্রামের কবির হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদারের (১৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের দুই মাস পর আলীর বিয়ের আশ্বাসে সঞ্চিতা কোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাসে আলী তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সম্পর্কের সুযোগে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী তার পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং সম্প্রতি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত ১ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে কোনো উপায় না দেখে সঞ্চিতা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে।

অনশনরত সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, “আমি একটি এনজিওতে চাকরি করি। ফেসবুকে আলীর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি ভারত থেকে তাকে দেশে আনার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন বিয়ে না করলে আমার জীবনের কোনো অর্থ থাকবে না। হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা—এই দুটোই আমার সামনে।”

আলীর মা রেশমা বেগম বলেন, “ছেলে এখন ভারতে আছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।” প্রেমিক আলী হাওলাদারের ভারতীয় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন