নিজস্ব প্রতিনিধি:
দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মৌজায় প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ একর ৯৫ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান। দীর্ঘদিন বেদখলে থাকা সরকারি এই সম্পত্তি উদ্ধারে ভূমিকা রাখায় তিনি এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জমি উদ্ধারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। বহু বছর ধরে অবৈধভাবে দখলকৃত এই সরকারি জমিটি একসময় জমিদার শ্রী নফর চন্দ্র পালের হাওয়া ভবন ছিল বলে জানা গেছে। জমি উদ্ধারের পর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সেখানে লাল নিশান উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে এসিল্যান্ড কে এইচ তাসফিকুর রহমানের ধারাবাহিক তদারকিতে জমির মালিকানা ও রেকর্ড যাচাই শেষে সরকারি নামে রেকর্ডভুক্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত খাস জমিতে প্রায় ২ হাজার তালবীজ রোপণ করা হয়। ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা, বিপণ্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তালবীজ রোপণ করি’- এই স্লোগানে কর্মসূচিটি আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড নেচার ইনিশিয়েটিভ। তালবীজ রোপণে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, উচ্চমান সহকারী সোহেল রানা, সংগঠনের সদস্যরা, নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ও স্থানীয় শতাধিক মানুষ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, ‘উদ্ধারকৃত জমিটি সরকারের মালিকানাধীন। আমরা তদন্তে পাই, কিছু ব্যক্তি এই জমি লিজের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিলেন। আমরা মাইকিং করে জানিয়েছি- এটি সরকারি সম্পদ, কোনো ব্যক্তি এর মালিকানা দাবি করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন বেদখল থাকা জমিতে এখন তালগাছ লাগানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি বজ্রপাত রোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রজন্মের বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার চাইলে এখানে পার্ক, খেলার মাঠ বা জনকল্যাণমূলক স্থাপনা গড়ে তুলতে পারেন।’

