নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভারতের নদিয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পচি খাতুনের (৬৫) শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন বাংলাদেশে থাকা তার নানাবাড়ির স্বজনরা অন্তত এক নজর তার মরদেহ দেখতে পারেন। বিজিবি ও বিএসএফের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তার।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের eeeকৃষ্ণনগর থেকে বিএসএফ সদস্যদের সহযোগিতায় পচি খাতুনের মরদেহ আনা হয় সীমান্তের ১২৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর মরদেহ নিয়ে আসার পর মুজিবনগরে তার নিকট আত্মীয়দের দেখার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রায় ২০ মিনিট মরদেহটি সীমান্তে রাখা হয়। এ সময় নিকট আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের বিপুল সংখ্যক মানুষ পচি খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে আসে। চোখের জলে শেষ বারের মত বিদায় জানায়।
পরে মরদেহটি আবার ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার এবং ভারতের পক্ষ থেকে ছিলেন বিএসএফের চাপড়া কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার।
মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার বলেন বিএসএফের পক্ষ থেকে মৃতের মরদেহ দেখানোর বিষয়টি অবগত করা হলে বিজিবি তাতে সাড়া দেয়। পরবর্তীতে মৃতের স্বজনরা সীমান্তের কাছে এসে তাদের আত্মীয়র মরদেহ দেখতে পায়।
স্বজনদের পাশাপাশি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যেও কুশল বিনিময় ও আন্তরিকতা তৈরি হলো মৃতদেহ দেখা করার মাধ্যমে।