Home » গণপিটুনির শিকার সুজনের মৃত্যু, থানায় কোনো অভিযোগ নেই।

গণপিটুনির শিকার সুজনের মৃত্যু, থানায় কোনো অভিযোগ নেই।

কর্তৃক ajkermeherpur
93 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহে মোবাইল চুরি সন্দেহে গণপিটুনিতে সুজন (৩৫) নামে এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সুজন শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এবং বর্তমানে ঝিনাইদহ পৌরসভার পাওয়ার হাউজ পাড়ায় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিল।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: ফারহানা শারমিন বলেন, এই রোগীকে অজ্ঞাত নামে গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট হওয়ার কারণে। তার চিকিৎসা চলছিল। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে মারা যায়।

জানা গেছে, গত বুধবার ভোরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৭ম তলায় রোগীর স্বজনদের মোবাইল চুরির অভিযোগে সুজনকে গণপিটুনি দেয় রোগীর স্বজনরা। তাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার সকালে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বলেন সেদিনই তার স্ত্রীর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে চুরির বিষয়ে বা তাকে মারা বিষয়ে কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি।

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে একজন রোগী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের সিড়ির মধ্যে শুয়ে আছে জানতে পেরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিই। তার চিকিৎসা চলছিল। আমি আজ ছুটিতে আছি। দুপুর পৌণে দুইটার দিকে আমার স্টাফরা আমাকে জানান রোগীটি মারা গেছে। তবে গত বুধবার ভোরে মোবাইল চুরি নিয়ে গণপিটুনির বিষয়ে আমার কিছুই জানানেই।

এদিকে, আজ শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে লাশ ঘরে নিহতের মরদেহ রাখা হয়। তবে সেখানে তার কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ পাওয়ার হাউজ পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতেও যেয়েও তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। মরদেহের সুরতহাল তদন্ত করেন সদর থানার এই আই তাইফুল।

এই ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া কি হবে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন