চিঠিই ছিল এক সময় মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। প্রিয় মানুষের চিঠির জন্য অধীর অপেক্ষায় কেটেছে দিনের পর দিন। ডাক পিয়ন দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ত মানুষ, এই বুঝি তার কাক্সিক্ষত চিঠি এসেছে। সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সবার হাতে রয়েছে বার্তাবাহক স্মার্টফোন। এতে ডাকবাক্স, পোস্ট অফিস, ডাকপিয়ন এসব যেনো অতলে হারিয়ে গেছে।
আজ বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
এ বছর বিশ্ব ডাক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জনগণের জন্য ডাক: স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর’। যার উদ্দেশ্য জনগণের সঙ্গে সরকারের সংযোগ বৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়নে ডাক সেবার ভূমিকা তুলে ধরা এবং আধুনিক ডাক ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
১৮৭৪ সালের নয় অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন’ গঠিত হয়। পরে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে নয় অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

