আজকের মেহেরপুর ডেক্স:
অনেক সময় আমরা ঠান্ডা, কাশি, জ্বর অথবা ডায়রিয়ায়, বা অন্য কোন ক্ষেত্রে কারণ না জেনে চট করে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নিই বা দোকানদার/আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করি—এ অভ্যাস অ্যান্টিবায়োটিক সহিষ্ণু জীবাণুর জন্ম দিচ্ছে। মৌসুমি জ্বর, পেট খারাপ, সর্দি–কাশি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত। ভাইরাসের বিপরীতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। এই অযৌক্তিক ব্যবহারের ফল হচ্ছে শরীরের উপকারী জীবাণু ধ্বংস হয়ে অধিকতর আগ্রাসী জীবাণুগুলোকে সুযোগ করে দেওয়া। আবার দুই–তিন ডোজ ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর সেরে যায়, কাশি কমে যায় বা পেট ভালো হয়ে যায়, তারপর মেয়াদ শেষ না করে অনেকে ওষুধ বন্ধ করে দেন। এতে জীবাণুটি আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। এসব কারণে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।
এবিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০.০৯.২০২১ তারিখ মুজিবনগর উপজেলায় ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার বন্ধে ঔষধ দোকান মালিক সমিতির সাথে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মুজিবনগর ও ঔষধ দোকান মালিক সমিতির সম্মানিত সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার না করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
(সূত্রঃ মুজিবনগর নিবার্হী অফিসার ফেসবুক)