Home » আলমডাঙ্গায় অপারেশনে অবহেলা রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই

আলমডাঙ্গায় অপারেশনে অবহেলা রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই

কর্তৃক ajkermeherpur
25 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই এর অভিযোগ উঠেছে। আড়াই মাস পরে তা অপসরণ করা হয়েছে। গতকাল ওটিতে গজ অপসারণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সকলের নজরে আসে।

ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে একটি রোগীর অস্ত্রোপচার চলছে। সেখান দুই জন ব্যাক্তির কন্ঠ শোনা যাচ্ছে। তারা রোগীর স্বজনদের কাছে রোগীর অবস্থা বর্ণনা করছেন। ওটিতে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলার সিভিল সার্জন হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ কেউ দেখা যায়। তিনি সহযোগী সহ রোগীর পেটে থেকে বড় আকারের গজ বের করছেন।

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে আসার পরেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাটি টপ অফ দা সিটিতে পরিণত হয়। সবাই ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে আলমডাঙ্গার পপুলার ক্লিনিকে সাহেরা খাতুন (৫৫) নামের শ্রীরামপুর গ্রামের এক মহিলার জরায়ু টিউমার অপারেশন করেন কুষ্টিয়া থেকে আগত ডাঃ হোসেন ইমাম। অপারেশনের কিছুদিন পর পর ক্ষতস্থান থেকে পূজ বাহির হতে থাকে। অনেক ওষুধ সেবন করার পরেও কোন ফলাফল আসে না। এ নিয়ে রোগীর তীব্র ব্যথা শুরু হলে দীর্ঘ দুই মাস বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করেও কোন সমাধান হয়নি।

গত শনিবার আলমডাঙ্গা ডক্টরস কেয়ার এন্ড স্পেসালাইজড হসপিটালে তার অপারেশন করে পেটের ভেতর থেকে গজ কাপড় বাহির করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডঃ হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

এ নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এখানে রোগীদের পছন্দের ডাক্তার হোসেন ইমাম ছিল, পাশাপাশি এনেস্থেসিয়া হিসেবে ডাক্তার আব্দুস সালাম এবং সহকারী হিসেবে ডাঃ তুহিন ছিল। এখন ডাক্তার কিভাবে অপারেশন করবে সেটা তো ডাক্তার ভালো বলতে পারে। তবে যিনি সেলাই করেছে এখানে সম্পূর্ণ দায় তার। একজন রোগীর জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমরা ডাক্তার ম্যানেজ করেছি, সহকারীও  ম্যানেজ করেছি, এনেস্থেশিয়াও ম্যানেজ করেছি এখানে তো আমাদের কোন গ্যাপ ছিল না।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন