Home » কলাপাড়া চম্পাপুরে জমি বিরোধ বিএনপি নেতার দাবি বনাম মসজিদের মালিকানা।

কলাপাড়া চম্পাপুরে জমি বিরোধ বিএনপি নেতার দাবি বনাম মসজিদের মালিকানা।

কর্তৃক ajkermeherpur
13 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতার হুমকিতে মসজিদের ১৫ একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদের ওই জমি চাষাবাদ করতে না পেরে ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেছেন। তবে বিএনপি নেতা নজরুল খাঁন বলেন, ওই জমি আমাদের। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।

সূত্র জানায়, চম্পাপুরের কৃষ্ণপুর মৌজার এসএ ৩৩ নম্বর খতিয়ানের ১৫.৮০ একর জমি ওয়াকফ দলিল মূলে ইসলামিক খেদমতে চালিতাবুনিয়া তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদে হস্তান্তর করেন দানবীর সফিজ উদ্দিন হাওলাদার। এটি ওয়াকফ এস্টেটভুক্ত হয়েছে। ইসি নম্বর ১৬১১৭, তারিখ ২৭ নভেম্বর ১৯৫৭।প্রায় ৭০ বছর ধরে মসজিদের জমির আয়ের টাকা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য মসজিদ উন্নয়নে ব্যয় হয়ে আসছিল। গত বছর চাষাবাদ করতে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ফলে জমি অনাবাদি ছিল। এ বছর মৌসুম শেষেও বাধার কারণে চাষাবাদ করা যায়নি। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, কৃষ্ণপুর-১৮ মৌজার ৪ নম্বর খতিয়ানের ১৪.৬৩ একর জমি চালিতাবুনিয়া তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদের পক্ষে মোতওয়াল্লি নামে মালিকানা রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বকেয়াসহ ৩২ হাজার ১৪০ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর ১২ মে ২০২৫ পরিশোধ করা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু বলেন, মোতওয়াল্লি পরিচালিত মসজিদের জমি চাষাবাদের জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করার পর চেয়ারম্যান চম্পাপুরকে গত ২৫ ডিসেম্বর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনও লিখে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি।

চম্পাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল খাঁন বলেন, ওই জমি আমাদের। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আওয়ামী লীগ আমলে বাটু তালুকদার, আল-আমিন তালুকদাররা জোর করে জমি ভোগদখল করেছে। এখন আমরা বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত জমি অনাবাদি থাকবে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, ‘মসজিদের নামের জমি। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। নজরুল আদালতে মামলা আছে বা জমির মালিকানা দাবি করলেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে মসজিদের মালিকানা স্পষ্ট। এ বিপুল পরিমাণ জমি চাষাবাদ করা দরকার। প্রয়োজনে বর্গাচাষি দিয়ে চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেব।’

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, জমিজমাসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা পুলিশের এখতিয়ার বহির্ভূত, এটি আদালতের বিষয়। গতবছর এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়, ফৌজদারি মামলাও হয়েছে। এ বছরও যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়, সে বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন