Home » খাবারের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মৎস্য চাষীরা

খাবারের দাম বৃদ্ধিতে লোকসানে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মৎস্য চাষীরা

কর্তৃক xVS2UqarHx07
551 ভিউজ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি মোঃ রমজান আলী আলী:

খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে লোকসানের ঝুকিতে পড়েছে ঝিনাইদহের মৎস্য চাষিরা। জেলায় মাছের চাহিদা বিবেচনায় লাভ বেশী হওয়াই দিন দিন মাছের চাষ বৃদ্ধি পায়। গ্রামের মানুষ আবাদী জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই চাষের সাথে জড়িতরা। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, মহেশপুর উপজেলায় প্রতি বছর মাছের উৎপাদন হয় ১০ হাজার ২শ’ মেট্রিকটন। এতে ১১ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন খাবারের প্রয়োজন হয় । তবে জেলার ৬ উপজেলায় প্রতি বছর মাছের উৎপাদন হয় ৪৫ হাজার ২ শ’ ৪৭ মেট্রিকটন। এই মাছ উৎপাদনে খাবার প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০ হাজার ৬শ’ মে.টন। জেলায় মোট মাছ চাষীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭ শ’ ৪৫ জন। মাছ চাষী রেজাউর ইসলাম জানান, মাছ চাষে বেশী লাভ পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যায় ফেলে দিয়েছে খাবারের দাম। ২০ কেজির বস্তায় তিন দফায় কেজিতে ৩ টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে মাছের দামও কমেছে প্রতি মনে গড়ে ২ হাজার টাকা। এই অবস্থায় খাবারের দাম না কমলে আমরা শেষ হয়ে যাবো। অপর এক মাছ চাষী রিয়াজ জানান, তেলাপিয়া মাছের খাবার ২৫ কেজি বস্তা গত বছর কিনেছি ১১শ’ টাকা করে। কিন্তু চলতি বছর কিনতে হচ্ছে ১২শ’২৫ টাকা করে বস্তা। এভাবে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেলে মাছ চাষ করবো কিভাবে। মাছের খামারি আহসানুজ্জামান রুমেল জানান, শুকনো মৌসুমে পুকুরগুলোতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একই সঙ্গে মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ মাছ চাষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি মাছের বিক্রয়মূল্য। এতে মাছ বিক্রিতে লাভবান হওয়া তো দুরের থাক, উল্টো লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদের। স্থানীয় খাবার ব্যবসায়ীরা মানিক ও মোসারফ হোসেন বলেন, কোম্পানীর কাছে জানতে চাইলেই বলে কাচামালের দাম বেড়েছে তাই খাবারের দামও বৃদ্ধি। কিন্তু সরকার যদি সঠিক ভাবে মনিটরিং করতো তাহলে হয়তো এমনটি হত না। ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, খাবারের দাম যাতে কমানো যায় সে ব্যাপারে বারবারই ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করছি। কিন্তু তারা আমাদের বলছে করোনার কারনে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি কেটে গেলে হয়তো কমে যাবে খাবারের দাম, মাছের দামও বৃদ্ধি পাবে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন