নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ভোটকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম হোসাইন এর উপর হামলা করেছে নৌকার মনোনীত প্রার্থী রেজাউল হক মাস্টার এর কর্মী সমর্থকগণ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলম হোসাইন জানান, আসন্ন তৃতীয় ধাপের কাজীপুর ইউপি নির্বাচনে আমি একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে প্রথমে বেতবাড়িয়া বাজারে গণসংযোগে গেলে রেজাউল হক মাস্টারের ভাই আসাদুল হক মাস্টার ও বেতবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ বাবলুর নেতৃত্বে ওখানে আমাকে ঘেরাও করে এবং বলে আপনি এখান থেকে চলে যান। পরে আমাকে ওখান থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে ভবানীপুরে গেলে সেখানে পৌছানোর কিছুক্ষন পরে ওরা আমার পিছু পিছু আসে এবং রেজাউল হক মাস্টারের উপস্থিতিতে আমাকে শারীরীকভাবে লাঞ্চিত করে তার কর্মী সমর্থকরা। তিনি আরো জানান, রেজাউল হক মাস্টারের ছোট ভাই আসাদুল হক মাস্টার সে নিজে আমাকে ধাক্কা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি স্থান ত্যাগ করি। আমি চলে আসার পরে ওরা আমার প্রচারে থাকা ভ্যানওয়ালাকে প্রহার করে তার মোবাইল ছিনতাই করে নিয়েছে এবং ভ্যানে থাকা জিনিষপত্র তসনস করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, একারণে আমি নিজেই শঙ্কিত তারা যেকোন সময় আবার আমার উপর হামলা করতে পারে। আমি আগামীকাল শনিবার আমি গাংনী থানা এবং নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবো।
এ বিষয়ে আসাদুল হক মাস্টার জানান, তার সাথে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। শেখ হাসিনা ও দলীয় প্রতীকের ব্যাপারে তিনি মানুষের কাছে ভুল ধারণা দিচ্ছিলেন। এ কারণে তাকে স্থান ত্যাগ করতে বলায় তিনি এরকম মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
নৌকার মনোনীত প্রার্থী রেজাউল হক মাস্টার জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করায় স্থানীয় লোকজন তাকে স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। আমার কোন লোকজন তাকে হামলাতো দুরে থাক লাঞ্ছিতও করেনি। তিনি যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে মিথ্যা ও বানোয়াট।
ভবানীপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জহির রায়হান জানান, একটু ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।