Home » ঠাকুরগাঁওয়ে ভাদ্রের বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের সবুজ ক্ষেত-হাসি ফুটেছে কৃষকের

ঠাকুরগাঁওয়ে ভাদ্রের বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের সবুজ ক্ষেত-হাসি ফুটেছে কৃষকের

কর্তৃক xVS2UqarHx07
541 ভিউজ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর:

ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন উপজেলায় এই মনোরম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। জেলায় এবারের মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

ধান চাষিরা উল্লেখ করেন, এ বছর বৃষ্টিপাতের হার বেশি হওয়ায় ক্ষেতে সেচসহ অন্যান্য খরচ তুলনামুলক কম। একইসঙ্গে বৃষ্টির পানির সুবাদে ধানের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। ফলনের পর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী চাষিরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চখহলদি গ্রামের ধান চাষি মো.জুয়েল ইসলাম এবার দুই একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, এইবার গনগন বৃিষ্টি হওয়ায় আমার ধান খুব ভালো হইছে। বিঘাপ্রতি ৮থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। আশা করছি, প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মণ ধান পাবো।

একই এলাকার ধান চাষি মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, এবার আট বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। আমি নিজেই ক্ষেতের পরিচর্যা করি। পাশাপাশি কিছু শ্রমিক নেয়া লাগে।

এ বছর আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকায় ধান যথেষ্ট ভালো। আশা করছি, ফলনও ভালো হবে।

ধান চাষি রুবেল রানা বলেন এবার চার বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। তিনিও একই আশার কথা শোনালেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের চেহারা বেশ ভালো।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মনে করছেন, অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জেগেছে।
তাছাড়াও পোকামাকড় রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সতেষ্ট রয়েছেন কৃষি বিভাগ ।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান জানান এবার মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। তাই ধানের তেমন কোনও রোগবালাই নেই। ফলে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন ,এবারের আমন মৌসুমে ক্ষেতে তেমন রোগ বালাইয়ের প্রভাব দেখছি না। ধানের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কৃষকরা এবার অত্যন্ত লাভবান হবে। তিনি আরো জানান এবার ৫১ হাজার ৬৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

তাছাড়াও কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমাদের আশা, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবে।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন