Home » নিখোঁজের ২ মাস অতিবাহিত হলেও দামুড়হুদা জয়রামপুরের সাব্বির হোসেন (আকাশের) কোন খোঁজ মেলেনি

নিখোঁজের ২ মাস অতিবাহিত হলেও দামুড়হুদা জয়রামপুরের সাব্বির হোসেন (আকাশের) কোন খোঁজ মেলেনি

কর্তৃক xVS2UqarHx07
397 ভিউজ

স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম মানিক:

পরিবারের দাবি গত ২মাস আগে আকাশের শশুর মজনু মিয়া একদিন রাতে এসে তার বাড়ি নিয়ে যায়। যাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো কোন খোঁজ মেলেনি বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর হাজীপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন আকাশ (২২)গত ২ মাস আগে একদিন রাতে হঠাৎ আকাশের শশুর মজনু মিয়া তাদের বাড়িতে আসে এবং আকাশের মাকে বলে আকাশকে নিতে আসলাম আর এখনি চলেযাব তার পর আকাশকে নিয়ে তার শশুর কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে যায়। এরপর ৪ থেকে ৫দিন পর তার আর কোন খোঁজ মেলেনি। এঘটনার সূত্র ধরে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান সাব্বির হোসেন আকাশের পিতা শমসের আলী তারপর থেকে দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন আকাশের মা চম্পা বেগম এরই এক পর্যায়ে আকাশকে পাঠিয়ে দেয় তার নানার বাড়ি কুষ্টিয়া সদরপুর সেখানে একটা কাঠের দোকানে সে কাজ করতে শুরু করে কয়েক বছর পার হওয়ার পর ঐ এলাকার পাশের গ্রাম কুষ্টিয়া আমলা সদরপুর চরপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী মজনুর সাথে পরিচিত হয় এরই এক পর্যায়ে মজনুর ঘরে থাকা একটি মেয়ে নাম তার মৌসুমী জানা গেছে এর আগে মেয়েটিকে এক সেনা সদস্যের সাথে বিয়ে দেন বেশ কিছুদিন পরে জোর করে সেই সেনাসদস্য জামাইকে আটকে অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে মেয়েকে তালাক নেয়। এরই এক পর্যায়ে ওই বাড়িতে আকাশে যাতায়াতের ফলে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক হয়ে যায় তারই এক পর্যায়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে আকাশ এবং মজনুর মেয়ে মৌসুমিকে নিয়ে দুজন পালিয়ে যায় এবং বিয়েও করে গত ৫/১/২০২১ ইং তারিখে তার কিছুদিন পর আকাশ ফিরে আসে তার নিজ গ্রাম জয়রামপুরে এরই ভেতর খোঁজ পায় মেয়ের বাবা মজনু একপর্যায়ে তারা আসে জয়রামপুরে আকাশের বাড়িতে বিভিন্ন মাস্তান ধরে নিয়ে এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায় এরি কয়েকদিন পরে সবকিছু মিটে গেছে বলে আকাশের শশুর মজনু মিয়া তাদের বাড়িতে আসে এবং বলে যা হবার তা হয়ে গেছে এখন মেয়ে-জামাইকে আমরা নিয়ে যেতে চাই বাড়িতে।

কিন্তু আকাশের মা চম্পা বেগম দিতে রাজি হয় নাই বলে আমার ছেলেকে নিয়ে গেলে ওরা মেরে ফেলবে যার ফলে মেয়েও যায়নি ছেলেকেও পাঠায়নি তারই কিছুদিন পর মেয়েটির বাবা মজনু মিয়া ফোন করে মেয়েকে বলে তোমার মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ একটু দেখতে এসো।তারপর আকাশের স্ত্রী মৌসুমিকে একা পাঠিয়ে দেন তার বাবার বাড়িতে কেননা তখনো শঙ্কামুক্ত না আকাশ মেয়েটি বাবার বাড়িতে যাওয়ার পর তারা মেয়েকে আটকে দেয় এবং বিভিন্ন কবিরাজ ধরে মেয়েকে বশ করে রাখার চেষ্টা করে কিন্তু সেটাও বিফলে যায়। পরে মেয়েটি চুরি করে আবার চলে আসে তার স্বামী আকাশের বাড়িতে। তার বেশ কিছুদিন পর সবকিছু মিটে যাওয়ার কথা বলে মেয়ের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে মৌসুমীর বাবা মজনু মিয়া তাই কিছুদিন পর মেয়েকে নিয়ে যায় আকাশের শশুর মজনু মিয়া যাওয়ার কয়েক দিন পরে হঠাৎ একদিন রাতে মজনু মিয়া আসে আকাশ দের বাড়িতে এবং আকাশের মাকে বলে মেয়েটা অসুস্থ জামাইকে নিয়ে যেতে বলল আর এখনই নিয়ে চলে যাব আমি। তারপর আকাশের মা চম্পা বেগম কোনো বাধা-বিপত্তি না করে ছেলেকে পাঠিয়ে দেয় শশুরের সাথে। তারি ৪ থেকে ৫ দিন পর আকাশের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বিগত ২টি মাস পার হয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি আকাশের।

আকাশের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়োও খুজে পায়নি ছেলেকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আকাশের মা চম্পা বেগম। এরোই এক পর্যায়ে আকাশের পরিবার খোঁজ নিতে যায় কুষ্টিয়া আমলা সদরপুর চরপাড়াই মজনুর বাড়িতে এদিকে মজনু মিয়া বলেন আমার মেয়েকে নিয়ে ও আবার পালিয়ে গেছে উল্টে গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া মিরপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করতে যায় বলে শুনা যায় এবং সে বলে আমার মেয়েকে আকাশ সাদা মাইক্রো গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এ বিষয়ে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের নজরে আসে বিষয়টি এবং ওই চেয়ারম্যান বলেন এ পর্যন্ত কোন মাইক্রোবাস আমার এলাকায় ঢুকেনি এটা তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিচ্ছে। এবং মজনু মিয়া বলে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু এদিকে আকাশের মা বলছে আমার ছেলের বিয়ে করা বউ সে কেন মাইক্রোবাস নিয়ে তুলতে যাবে এটা তাদের সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী ওরা আমার ছেলেকে হয়তো মেরে ফেলে গুম করে দিয়েছে আজ দুই মাস হয়ে গেল তার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেনি এবং আকাশের শশুর মজনু মিয়া তার মেয়ে মৌসুমিকে কোথাও আটকে রেখেছে এবং বলছে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে অবশেষে সাব্বির হোসেন আকাশের মা চম্পা বেগম বলেন আমার ছেলে কে ফিরে পেতে চাই। আজ আমি অসহায় গরীব হওয়ায় তারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করছে। অবশেষে আমি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমার ছেলেকে ফিরে পেতে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। এদিকে দামুড়হুদা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান বিষয়টি যেহেতু দুই মাস আগে শশুর বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়েছে এবং সাব্বির হোসেন আকাশ’ কুষ্টিয়া সদরপুর বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিল সেহেতু আমরা বাদিকে কুষ্টিয়া মিরপুর থানায় একটি জিডি করার পরামর্শ দিয়। এবং আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সাব্বির হোসেন আকাশের মা চম্পা বেগম আরো বলেন আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা এসপি স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন