Home » মেহেরপুর কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহ বাড়ায় দাম অর্ধেকে

মেহেরপুর কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহ বাড়ায় দাম অর্ধেকে

কর্তৃক ajkermeherpur
42 ভিউজ

স্টাফ রিপোর্টার:

মেহেরপুরের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এতে দাম নেমেছে অর্ধেকে।

দামে এই নিম্নমুখী হওয়ায় ভয়ে রয়েছেন সবজি চাষিরা। চাষিরা বলছেন, বাজার স্বাভাবিক না হলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন না কোনো সবজি চাষি।

মেহেরপুর বড়বাজারের সাথেই কাঁচাবাজারের আড়ত। সকাল থেকেই অন্যান্য সবজির পাশাপাশি শীতকালীন সবজি নিয়ে কাঁচাবাজারের আড়তে আসেন কৃষকরা। প্রতিদিন এভাবেই কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রি হয় এই আড়তে।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, বরবটি, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বাজারে এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। এতে কমতে শুরু করেছে দামও।

গত সপ্তাহে পালং শাক কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি এ সপ্তাহে তা ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। শিম ১০০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুলা ১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, ওলকপি এবং বাঁধাকপি ৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আলু, কচু, লাল শাক সহ অন্যান্য সবজির দাম ২০,২০,৪০ অপরিবর্তিত রয়েছে। কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে শীতকালীন সবজির এই দাম নিম্নমুখী হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

সবজি চাষী আজগর আলী বলেন, চলতি মৌসুমে সার ও বালাই নাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। এছাড়া আবহাওয়াজনিত কারণে ফসলের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম না পেলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

আরেক সবজি চাষী রাজ্জাক হোসেন বলেন, অনেক খরচ করে ফুলকপি চাষ করেছি। ফুলকপি যত্ন করে, ঠিকমতো পরিচর্যা করে বিক্রি করতে এসে দাম না পেলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

অপরদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালীন সবজির আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আড়ত মালিকরা।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন