Home » মেহেরপুর ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে ৩ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড

মেহেরপুর ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে ৩ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড

কর্তৃক xVS2UqarHx07
219 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে সামিরুল ইসলাম, এনামুল হক ও পাপ্পু কুমার বিশ্বাস নামের ৩ ব্যক্তিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালের দিকে মেহেরপুরে স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত সামিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার উত্তর কয়া গ্রামের বিশু শেখের ছেলে। এনামুল হক মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাউট গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে, পাপ্পু কুমার বিশ্বাস কুষ্টিয়ার বাড়াদি গ্রামের মাধব বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় পাপ্পু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সে আটক হওয়ার দিন থেকে তার সাজার কাজ শুরু হবে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১২ সালের ২৮ জুন সকালের দিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাংনী র্যাব-৬ এট সুবেদার আব্দুল্লাহিল ওয়াফি’র নেতৃত্বে র্যাব-৬ এর একটি দল গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলামের বাড়ির সামনে মেহেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তল্লাশি করে ৪শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। ঐ সময় র্যাব-৬এর সদস্যরা শ্যামলী পরিবহনের চালক সামিরুল ইসলাম,
সুপারভাইজার মোঃ এনামুল হক, হেলপার পাপ্পু কুমার বিশ্বাস, তোফাজ্জল হোসেন লিটন, মোঃ সোহরাব হোসেন, চালক মোঃ একরামুল ইসলাম, রুবেল, বাবু এবং গোলাম কিবরিয়া নামের ৯ জনকে আটক করেন। ওই ঘটনায় স্পেশল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর ৩৫ বি (২)ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার জি আর কেস নং ৪৭০/১২, স্পেশাল ট্রাইবুনাল কেস নং ৫৯/১৩।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন এতে আসামি সামিরুল ইসলাম, এনামুল হক ও পাপ্পু কুমার বিশ্বাস নামের ৩ ব্যক্তিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড,৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ।সাজাপ্রাপ্ত পাপ্পু কুমার বিশ্বাস আটক হওয়ার দিন থেকে তার সাজার কাজ শুরু হবে।

তোফাজ্জল হোসেন লিটন, মোঃ সোহরাব হোসেন, চালক মোঃ একরামুল ইসলাম, রুবেল, বাবু এবং গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ। এবং আসামি পক্ষে এ্যাডঃ মিয়াজান আলী, ইয়ারুল ইসলাম, কামরুল হাসান এবং রমজান আলী কৌশলী ছিলেন।

০ মন্তব্য

You may also like

মতামত দিন